Published at Aug 27, 2019 in Health Tips
মশাবাহিত রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এখন কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়শই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মশাবাহিত রোগের কারণে। মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী যে প্রাণীগুলো, তার মধ্যে মশা অন্যতম। সারা বছরই মশাদের কারণে প্রচুর মানুষ মারা যায়। আর বর্ষাকালে মশাবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি হয়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ছাড়াও চিকুনগুনিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, ফাইলেরিয়া, জিকা ভাইরাস ও হলুদ জ্বরের মত সব মারাত্মক রোগ হতে পারে মশার কামড়ে। গত কয়েক বছর ধরে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে মানুষের মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেক দিবস আছে যার নাম আমরা জানিনা। তেমনই স্বল্প জানা একটি দিবস হচ্ছে 'বিশ্ব মশা দিবস'।খুব কম মানুষই জানে এই দিনের কথা। আজ ২০ আগস্ট, 'বিশ্ব মশা দিবস'। ১৯৩০ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৮৯৭ সালে ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রস। এইজন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারও পান। তাঁর সম্মানে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এই দিবসটি পালন শুরু করে। গবেষকদের মতে, প্রতিবছর প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ মশাবাহিত রোগে মারা যায়। সেই কারণে সারা বিশ্বে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিবস পালনের হার বাড়ছে। মশার উৎপাত নেই এমন এলাকা বিশ্বে নেই বললেই চলে। রাস্তাঘাটে নোংরা, জমা জল, খোলা নর্দমা ইত্যাদি মশার আঁতুরঘর। আর তাই সন্ধ্যা নামতে না নামতেই মশার উৎপাতে বাড়িতে টেকা দায় হয়ে পড়ে।
হাজারো বাজার চলতি ধূপ, তেল ইত্যাদি জ্বালিয়ে জানালা বন্ধ করে রেখে দিলে দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আবার জানালা খুললেই মশকবাহিনীর আক্রমণে বাঁচা দায় হয়ে যায়। ফলে শীতকাল হোক বা প্যাঁচপ্যাচে গরমকাল মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচা বেশ দূরহ। কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে মশার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে। অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর ফলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হবে না, এবং মশার কামড়ের হাত থেকেও বাঁচবেন।